Thursday, February 14, 2019

চুল পড়া বন্ধ করবে মেথি



প্রাচীনকাল থেকে চুলের যত্নে ব্যবহৃত হয়ে আসছে মেথি। মেথি শুধু চুল ঘন কালো ও উজ্জ্বলই করে না, মেথি চুল পড়া নিয়ন্ত্রণ করে ও চুল পড়া বন্ধ করে। সারা রাত এক চামচ মেথি গ্লাসে ভিজিয়ে রাখলে রেখে খালি পেটে ৩ মাস পর্যন্ত খেয়ে দেখুন চুল পড়ার সমস্যা আর থাকবে না।


একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, মেথি বীজে রয়েছে একাদিক উপকারী উপাদান যা শরীরের রোগপ্রতিরোধ করতে সহযোগিতা করে। মেথি রোগজীবাণু ধ্বংস করে, কৃমি, রক্তের চিনির মাত্রা, রক্তে ক্ষতিকর কোলেস্টেরল বা চর্বির মাত্রা কমায়। বার্ধক্যকে দূরে ঠেলে দিয়ে তারুণ্য ধরে রাখে মেথি।

নারী-পুরুষ সবারই কমবেশি চুল পড়ার সমস্যা রয়েছে।অনেক কিছু করেও চুল পড়ার সমস্যার সমাধান করতে পারছে না। তারা খেয়ে দেখতে পারেন মেথি।মেথি আপনার চুল পড়া কমাবে। তবে মেথি খাওয়া ও ব্যবহারের কিছু নিয়ম রয়েছে।

মেথি কী?

মেথি হচ্ছে ঔষুধি গাছ। মেথি বহুল ব্যবহৃত একটি অতিপরিচিত দানাদার উপাদান। মেথির ইংরেজি নাম Fenugreek। এর বৈজ্ঞানিক নাম Trigonella foenum graecum।

মেথি গাছে একবারই ফুল ও ফল হয়। মেথি হচ্ছে ফলের বীজ। এই মেথি মসলা হিসেবে প্রচুর পরিমাণে ব্যবহৃত হয়। বিশেষ করে এটি পাঁচফোড়নে মেথির ব্যব্হার অন্যতম। এছাড়া রান্নায় ও মেথির ব্যবহার রয়েছে।মেথি পরটা, মেথি রুই, মেথি মুর্গ, হাঁসের মেথি ভুনা, মেথি কলিজা ইত্যাদি। আসুন জেনে নেই কিভাবে মেথি ব্যবহারে চুল পড়া কমাবে ও চুল পড়া বন্ধ হবে।

খালি পেটে মেথি খান

রাতে এক গ্লাস পানির মধ্যে মেথি ভিজিয়ে রাখুন।সকাল মেথির পানি খালি পেটে পান করুন। এভাবে তিন মাস খেয়ে দেখুন চুল পড়া বন্ধ হয়ে যাবে।

চুলে মেথির ব্যবহার

মেথি বেটে সপ্তাহে একদিন চুলে লাগাতে পারেন। কিছু সময় রেখে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এছাড়া মেহেদির সঙ্গে মিলিয়ে মেথি চুলে লাগাতে পারেন।

মেথি জবা ফুল

৬টি জবা ফুল, এক টেবিল চামচ মেথি গুঁড়া পেস্ট করে নিয়ে এক ঘণ্টা রেখে ধুয়ে ফেলতে হবে। এতে চুলে ময়েশচারাইজার বজায় থাকবে।

মেথি আমলকি এক কাপ আমলকি, এক কাপ মেথি সারারাত ভিজিয়ে রেখে পেস্ট তৈরি করে নিয়ে চুলে এক ঘণ্টা রেখে ধুয়ে ফেলতে হবে। এতে করে চুলের ঔজ্জ্বল্যতা বৃদ্ধি পাবে।

শরীর ফিট রাখতে যা করবেন

শরীর ফিট রাখতে প্রথম শর্ত স্বাস্থ্যকর খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলা। এর সঙ্গে সঙ্গে করতে হবে শারীরিক ব্যায়াম।


শরীর ফিট রাখতে করতে পারেন এই কাজগুলো-

বাইরে যাওয়ার সময় সঙ্গে নিতে পারেন বাদাম, আম‌ন্ড, কাজু, ওয়ালনাট, তিসির বীজ, বাড়িতে তৈরি ভ্যানিলা।বাইরে চকলেট, চিপস না খেয়ে খেতে পারেন এগুলো।

টিভি দেখতে দেখতে খাওয়া যাবে না। যদি এই কাজটি করেন তাহলে খেয়াল থাকবে না আপনি কতটা খাচ্ছেন।


ছোট পাত্রে খাওয়ার অভ্যাস করুন। বেশি বার খান তবে অল্প অল্প। এতে শরীরে খাবারের ভারসাম্য বজায় থাকবে।

খাওয়ার সময় ভালোভবে চিবিয়ে খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। এর ফলে খাবারের জরুরি উপাদান শরীরে প্রবেশ করবে। ফলে গ্যাসের সমস্যা থেকেও মুক্তি পাওয়া যাবে।

শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম করুন। দিনে ১০ মিনিট এ ধরনের ব্যায়াম করলে দুশ্চিন্তার মাত্রা অনেকটা কমে যাবে। হার্টরেট স্বাভাবিক থাকবে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থেকে শরীরও সুস্থ রাখবে।

খাবার খাওয়ার ১৫ মিনিট আগে অথবা পরে পানি খান। এতে হজমশক্তি বাড়বে।

অনেকের খাবার দেখলেই খেতে ইচ্ছা করে। আর এ কারণে ক্ষুধা না লাগলেও খেতে থাকেন অনেকে। এই অভ্যাসটি শরীরের জন্য ভালো নয়। ক্ষুধা পেলে তবেই খেতে হবে।

রান্নাঘরে স্বাস্থ্যকর খাবার রাখুন। প্রক্রিয়াজাত ও প্যাকেটজাত খাবারের বদলে ফল, সবজি, ডিম, দুগ্ধজাত দ্রব্য রান্নাঘরে রাখুন। এতে কাজ করতে করতে উপকারী খাদ্যগ্রহণের অভ্যাস তৈরি হবে।

হঠাৎ নাক দিয়ে রক্ত পড়লে কী করবেন?

স্টাফ রিপোর্টার:
ঠাণ্ডার সমস্যা থেকে হাঁচি-কাশি হতে পারে। যদি কোনোদিন হঠাৎ করেই দেখেন যে হাঁচি-কাশির সঙ্গে রক্ত আসছে তবে চিন্তিত হওয়ার কারণ নেই। আগে জানতে চেষ্ঠা করুন কী কারণে আপনার এমনটি হচ্ছে।


জেনে রাখা ভালো, যে কোনো সমস্যায় আগে কেন হচ্ছে তা জানার চেষ্টা করুন। রোগের কারণ জানতে না পারলে আপনি চিকিৎসা করতে পারবেন না।

নাক দিয়ে রক্ত পড়ার সমস্যা কমবেশি অনেকের হয়ে থাকে। অনেকে মনে করে শরীরে অতিরিক্ত গরম বা ঠাণ্ডার কারণে নাক দিয়ে রক্ত পড়তে পারে। এ ধারণা ভুল।

চিকিৎসকদের মতে, নির্দিষ্ট কোনো কারণের সঙ্গে নাক দিয়ে রক্ত পড়ার সমস্যার কোনো মিল নেই। নাকের ভেতরের আর্দ্রতা কমে যাওয়া, কাঠি দিয়ে নাক খোঁচালে ও উচ্চ রক্তচাপ, টিউমার, পলিপ ইত্যাদির সমস্যা থাকলে নাক দিয়ে রক্ত বের হতে পারে।

আসুন জেনে নেই হঠাৎ নাক দিয়ে রক্ত পড়লে কী করবেন?

আর্দ্রতা

নাকের কোনো সমস্যা দেখা দিলে নাকের ভেতরে আর্দ্র করে তোলার চেষ্টা করুন। অর্থাৎ নাকের ভেতরে বাতাস চলাচল ও ঠিকমতো শ্বাস নেওয়ার চেষ্টা করুন।

স্প্রে ব্যবহার

নাক আর্দ্র করার জন্য বাজারে বেশকিছু স্প্রে পাওয়া যায়। এই স্প্রে ব্যবহারের ফলে নাক আর্দ্র হয় এবং নাকের রক্তক্ষরণ বন্ধ হয়।

ঠাণ্ডা পানি ও খোঁচানো

নাক দিয়ে রক্ত পড়লে নাকে ঠাণ্ডা পানি দেওয়া বা কোনো কাঠি দিয়ে খোঁচাবেন না।এ ছাড়া নাকে হাত লাগাবেন না। এতে করে আপনার বিপত্তি ঘটতে পারে।

উচ্চরক্তচাপ

নাক দিয়ে হঠাৎ রক্ত পড়লে বাড়িতে রক্তচাপ মেপে নিন। আপনার যদি উচ্চরক্ত চাপের সমস্যা হয় তবে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিন। এছাড়া চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের ওষুধ সেবন করুন।

পলিপ ও টিউমার

নাকে পলিপ ও টিউমারের সমস্যা থাকলে নাক দিয়ে রক্ত পড়তে পারে। তাই আপনার নাকে যদি এ ধরনের সমস্যা থাকে তবে নাকে খোঁচাখুঁচি করবেন না। চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

নিজের ইচ্ছায় ওষুধ সেবন

নাক দিয়ে রক্ত পড়লে কখনো নিজের ইচ্ছায় যে কোনো ধরনের ওষুধ সেবন থেকে বিরত থাকুন। রক্তপাত কমাতে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করুন। নাকে সামান্য পানি দিতে পারেন তবে মলম বা ক্রিম দেবেন না।

কিডনির পাথর থেকে মুক্তি দেবে লেবুর রস!

কিডনিতে পাথরের সমস্যা নারী-পুরুষ উভয়ের হতে পারে। কিডনিতে পাথর হলে প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া, পেটব্যথা ও বমির সমস্যা হতে পারে।


কিডনি মানবদেহের খুবই গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। কিডনি ছাড়া একজন মানুষের অস্তিত্ব কল্পনা করাই যায় না। কিডনি মানবদেহের ক্ষতিকর বিষাক্ত পদার্থ ছেঁকে বের করে দেয়। এছাড়া দেহের পানি, কেমিকেল ও ধাতুর সমতা ঠিক রাখে এই অঙ্গ।

সম্প্রতি কিডনির পাথরের সমস্যা বেড়েই চলছে। অনেকেরই কিডনিতেই পাথর ধরা পড়ছে ও একটি পাথর একাধিক পাথরের উৎপাদন করছে। একটি থেকে এই একাধিক পাথর সারা পেটে ছড়িয়ে পড়ছে। পাথরগুলো দেখতে অনেকটা ধূসর রঙের। দেখলে সাধারণ পাথরের মতো মনে হয়।

কিডনিতে পাথর হলে কিডনি আস্তে আস্তে তার কার্যকারিতা হারায়। পেটে প্রচণ্ড ব্যথা হতে থাকে। সাধারণ কিডনিতে পাথর হলে তা অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে শরীর থেকে বের করে দেয়া হয়।

যেসব কারণে কিডনিতে পাথরের শঙ্কা বাড়ে

বংশানুক্রম, পরিবারের কারো কিডনিতে পাথর হলে ও দীর্ঘদিনের কিডনির রোগ থাকলে কিডনিতে পাথর হওয়ার শঙ্কা বাড়ে।

কিডনির পাথর থেকে মুক্তি দেবে লেবুর রস

তবে কিডনির পাথর অপসারণের জন্য অপারেশন ছাড়াও প্রাকৃতিক উপায়ের মাধ্যমে পাথর বের করে নিয়ে আসা সম্ভব বলছেন বিশেষজ্ঞরা। কিডনির এই পাথর অপসারণের জন্য বেশ কার্যকর হচ্ছে পাতিলেবুর রসের এক গ্লাস পানি। সকালে খালি পেটে প্রতিদিন এক গ্লাস পানিতে অর্ধেক পাতিলেবুর রস মিশিয়ে খেলে কিডনির পাথর থেকে মুক্তি পেতে পারেন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পাতিলেবুর রসে রয়েছে সাইট্রিক অ্যাসিড। আর এই ক্যালসিয়ামজাত পাথর সৃষ্টি হতে দেয় না। এছাড়া যেসব পাথর আকারে বড় সেগুলোকে সাইট্রিক অ্যাসিড ছোট টুকরোতে ভেঙে ফেলে। ফলে সেগুলো সহজেই সরু মূত্রনালি দিয়ে বের হয়ে যেতে পারে এ ব্যথাও কম হয়।

শুধু কিডনি নয় যে কোনো সমস্যা যেমন- ঘন ঘন সর্দিকাশি, শক্তি বাড়াতে, দাঁতব্যথায়, ভাইরাসজনিত সংক্রমণ, চোখ, ত্বক ও লিভার পরিষ্কার করতে লেবুর রসের জুড়ি নেই।